Report 339 / Asia 27 August 2024 20+ minutes আলাদা হওয়ার পথে: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জন্য লড়াই জাতিগত রাখাইন গোষ্ঠী আরাকান আর্মি মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে একটি আধা-রাষ্ট্র (পুরোপুরি সার্বভৌম নয় এমন) তৈরি করছে। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে রোহিঙ্গাসহ বেসামরিক লোকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থিতিশীলতা আনতে আরাকান আর্মি, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও বাইরের শক্তিগুলো- সবারই ভূমিকা রয়েছে। Share Facebook Twitter Email Linkedin Whatsapp Save Print Download PDF Also available in Chinese, Simplified Chinese, Simplified Burmese English Bengali নতুন কী? বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি এবং তারা সামরিক বাহিনীকে বিতাড়িত করার দ্বারপ্রান্তে বলেই মনে হচ্ছে। পাল্টা জবাব দিতে হিমশিম খাওয়া সামরিক সরকার (জান্তা) রোহিঙ্গা মুসলিমদের যোদ্ধা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় আরাকান আর্মির হাতে বেসামরিক রোহিঙ্গাদের মারাত্মক নিপীড়নের শিকার হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে ফলাও করে এসেছে।কেন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ? আরাকান আর্মি একটি উদীয়মান আধা-রাষ্ট্রের (পুরোপুরি সার্বভৌম নয় এমন) শাসনভার গ্রহণ করায় রাখাইন রাজ্য ব্যাপক মানবিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। লড়াইয়ের ফলে কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অবরোধের কারণে বেসামরিক লোকজনের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছাচ্ছে না। জাতীয় সরকারগুলোর সঙ্গে কাজ করতে অভ্যস্ত বিদেশি পক্ষগুলোকে মানবিক ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো একটি অ-রাষ্ট্রীয় পক্ষের সঙ্গে মিলে কীভাবে সামাল দেওয়া হবে তা অবশ্যই ঠিক করতে হবে।কী করা উচিত? আরাকান আর্মির উচিত উস্কানিমূলক বক্তব্য এড়ানো, বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা, নিপীড়নের অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য তদন্তকে সমর্থন করা এবং রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা। ঝুঁকি এবং আইনি সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের উচিত সীমান্ত এলাকা স্থিতিশীল করতে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো। আর দাতাদের উচিত রাখাইন রাজ্যজুড়ে মানবিক কার্যক্রম সম্প্রসারণের উপায় খুঁজে বের করা। সারসংক্ষেপ ২০২৩ সালের শেষের দিকে রাখাইন রাজ্যের জন্য নিজেদের লড়াই আবার শুরু করার পর আরাকান আর্মি মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের একটি আধা-রাষ্ট্র তৈরির পথে রয়েছে। যদিও নির্বিচার হামলার মাধ্যমে সামরিক বাহিনী বাধা দিয়ে আসছে এবং অবরোধের ফলে ব্যাপক অর্থনৈতিক দুরবস্থা তৈরি হয়েছে; এরপরও রাজ্যের মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের সমর্থন পাওয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীটি অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে এবং উত্তরাঞ্চলীয় টাউনশিপগুলোতে ঢুকে পড়ছে, যেখানে তারা বেসামরিক রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই এলাকাগুলো ধরে রাখতে এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে মরিয়া সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের যোদ্ধা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ও তাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করেছে এবং রাখাইনে বাড়িঘর ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছে। যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে, আরাকান আর্মি সম্ভবত রাখাইন রাজ্যের কার্যত প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হবে আর বিদেশি পক্ষগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদের সঙ্গে কীভাবে এবং আদৌ যোগাযোগ করবে কি না। স্থিতিশীলতা বাড়ানোর জন্য আরাকান আর্মির উচিত হবে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সম্পর্ক নমনীয় করা, নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে স্বাধীন তদন্তকে সমর্থন করা এবং ঢাকা ও দাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা, যাদের উচিত হবে অভিন্ন মানবিক ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে গোষ্ঠীটির সঙ্গে কাজ করার উপায় খুঁজে বের করা।মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে আরাকান আর্মি আকার এবং জনসংখ্যা উভয় দিক থেকেই মিয়ানমারে একটি অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বড় এলাকা তৈরি করেছে এবং এখন রাখাইনের প্রায় পুরোটাই দখলে নেওয়া পথে। এ সাফল্যের জন্য চড়া দাম দিতে হয়েছে, রাজ্যের বেসামরিক লোকদের দিক থেকেও সেটা কম নয়। রাখাইন ও রোহিঙ্গা উভয় সম্প্রদায়ের কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সরকারি বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই মারাত্মক বিমান হামলা চালাচ্ছে। সরকারি বাহিনী এবং আরাকান আর্মি উভয়ই বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুরুতর নিপীড়ন চালিয়েছে বলে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ উঠেছে। মে মাসের শেষের দিকে সরকাররি বাহিনী রাজ্যের রাজধানী সিত্তের উপকণ্ঠে একটি গ্রামে বেসামরিক রাখাইনদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে যা ২০২১ সালের সেনা-অভ্যুত্থানের পর থেকে সবচেয়ে জঘন্য নৃশংসতাগুলোর একটি। অতি সম্প্রতি রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের মংডু শহরে আরাকান আর্মির হামলার সময় প্রায় ২০০ বেসামরিক রোহিঙ্গার মৃত্যুর জন্য গোষ্ঠীটি দায়ী বলে গণমাধ্যমে ফলাও করে এসেছে।যদিও আরাকান আর্মি সম্ভবত সামরিক বাহিনীকে পুরোপুরি হটিয়ে দিতে যাচ্ছে, তবে অঞ্চলটিতে কমবেশি স্থিতিশীলতা আনার মাধ্যমে সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লিগ অব আরাকানের অঞ্চলটি এবং তাদের অধীনে থাকা লোকেদের শাসন করার মতো সম্পদ ও সক্ষমতা রয়েছে কি না সেটা ততটা স্পষ্ট নয়। এ অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাখাইনের মধ্যে দৃঢ় সমর্থন গোষ্ঠীকে কঠিন জীবনযাত্রার পরিস্থিতি- যেমন, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের অভাব, জরুরি পরিষেবার ক্ষতি এবং সংঘাতের কারণে ধ্বংস হওয়া অর্থনীতি- এগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য কিছুটা সময় দেবে। তবে জনগণের সহনশীলতা কতদিন স্থায়ী হবে তা অনিশ্চিত। একটি কার্যকর স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্রের লক্ষ্য বাস্তবায়নে গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন আরাকান আর্মি। রাখাইনে সহজে কাজে লাগানোর মতো প্রাকৃতিক সম্পদ খুবই কম আর প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও নিকটবর্তী ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও পরিবহন যোগাযোগও দুর্বল, যা মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চীন বা থাইল্যান্ডের তুলনায় কম অনুকূল। ফলে রাজ্যটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য সরকার নিয়ন্ত্রিত মধ্য মিয়ানমারের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল এবং বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও ব্যাংক কার্যক্রমের মতো পরিষেবাগুলোর জন্য প্রায় পুরোপুরি নেপিডোর ওপর নির্ভরশীল। একই সময়ে চীন ও ভারত উভয়ই ভূকৌশলগত কারণে রাখাইনে প্রভাব তৈরি করতে চাইছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর দ্রুত প্রত্যাবর্তন দেখতে চায়। এই জটিল পরিস্থিতি সামলে সামনে এগিয়ে যাওয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীটির জন্য ছোটখাটো কাজ নয়।আরাকান আর্মি রাখাইনের মধ্যে জটিল জাতিগত সম্পর্ক সামলাতেও হিমশিম খাচ্ছে। ১৯৪২ সাল থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাখাইন যারা প্রধানত বৌদ্ধ এবং মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে বারবার সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণে রাজ্যটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোহিঙ্গারা রাজ্যে সংখ্যালঘু হলেও উত্তর রাখাইনে তাঁদের প্রাধান্য রয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকে নেপিডোর সামরিক সরকার এ বিভাজনে আরও উসকানি দিয়ে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গাদের চাপ দিয়ে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামানো এবং রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগসাজশ যাদেরকে তারা আগে সন্ত্রাসী তকমা দিয়েছিল। এই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির থেকে তরুণ-কিশোরদের জোরপূর্বক দলে ভেড়াচ্ছে, হয় নিজেদের দলের সদস্য করার জন্য অথবা যোদ্ধা হিসেবে সামরিক বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।যদিও অনেক রোহিঙ্গাকে তালিকায় নাম তুলতে বাধ্য করা হয়েছে, কেউ কেউ স্বেচ্ছায় গেছেন এবং রাখাইনের বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা ও গণহারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিজেদের জড়িয়েছেন। এটি আরাকান আর্মিকে ক্ষুব্ধ করেছে এবং গোষ্ঠীর নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে প্ররোচিত করেছে, যা অবনতিশীল আন্তঃসাম্প্রদায়িক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। উত্তর রাখাইন রাজ্যের দুটি প্রধানত রোহিঙ্গা জনপদ মংডু এবং বুচিডংয়ে লড়াই তীব্র হয়েছে, আরাকান আর্মির সদস্যদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ৫ আগস্টের হামলাও রয়েছে, যার দায় গোষ্ঠীটি অস্বীকার করেছে। রাখাইন রাজ্য একটি বিপজ্জনক সন্ধিক্ষণে রয়েছে, যেখানে রাখাইন ও রোহিঙ্গা উভয় সম্প্রদায়ের নেতাদের তাঁদের ঐতিহাসিক শত্রুতার ঊর্ধ্বে উঠে উত্তেজনা প্রশমন করতে হবে। তাঁদের উচিত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এড়ানো, আরও সহিংসতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সংলাপ চালু করা এবং তাদের একে অপরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়ার সরকারের প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করা। আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করতে হবে যে, তাদের বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করবে এবং তাদের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাবে। আরাকান আর্মির উচিত তাদের প্রশাসনে আরও রোহিঙ্গাকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগের একটি স্বাধীন তদন্তে সমর্থন জানানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া। আর ওই তদন্ত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুরু হওয়া উচিত। অভ্যন্তরীণভাবে সব ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া বাংলাদেশেরও রাখাইন রাজ্যে অন্য বিদেশি পক্ষগুলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। নিজেদের সীমান্তে স্থায়ী স্বায়ত্তশাসনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে একটি অঘোষিত ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের উত্থানের ফলে আরাকান আর্মির সঙ্গে ঢাকার নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগের পরিধি বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেবে, সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে এই সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি যা-ই হোক না কেন। এই গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের সময় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মানবিক ও মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া উচিত বাংলাদেশি দূতদের। ঢাকার উচিত সীমান্ত স্থিতিশীল করতে এবং অনিয়মিত অভিবাসনের কারণগুলো মোকাবিলা করার জন্য এই অঞ্চলে আরও মানবিক সহায়তা পাঠানোর এবং সীমান্ত বাণিজ্যের সুযোগ করে দেওয়া। পরিশেষে, ঢাকার উচিত শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তা উন্নত করা, সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রভাব কমানো এবং একটি প্রকৃত রোহিঙ্গা নাগরিক সমাজের আন্দোলন গড়ে তোলার সুযোগ করে দেওয়া। অন্য বিদেশী সরকারগুলোর খুঁজে বের করা উচিত কীভাবে তারা আরাকান আর্মি এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কাজ করতে পারে যাতে মানবিক সহায়তা পাঠানো বাড়ানো যায় এবং মধ্য ও উত্তর রাখাইন রাজ্যে সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত সব জাতিগত সম্প্রদায়ের জন্য সহায়তার পরিধি বাড়ানো যায়।রাখাইন রাজ্যের বিকাশমান পরিস্থিতি প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো ও অন্য বিদেশি পক্ষগুলোর জন্য সিদ্ধান্তহীন অবস্থা তৈরি করেছে- শুধু এই প্রশ্নেই নয় যে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার মধ্যে আরাকান আর্মির মতো একটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কীভাবে কাজ করা যায় যে ব্যবস্থা আইনি এবং বাস্তব কারণে জাতি রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে বিশেষ সুবিধা দেয়। এই উভয়সংকট অবস্থা সত্ত্বেও, যেমনটা ক্রাইসিস গ্রুপ অন্যত্র উল্লেখ করেছে, প্রতিবেশীরা এবং দাতারা সম্ভবত দেখতে পাবেন যে, রাখাইন রাজ্যে যারা কার্যত প্রশাসক তাদের সঙ্গে পারস্পরিক লক্ষ্যগুলো সামনে রেখে কাজ করার মধ্যে ইতিবাচক মানবিক ও নিরাপত্তা প্রভাবের সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা নিহিত রয়েছে -- মানবাধিকার, সংঘাত এবং আইনি ঝুঁকি ও সীমাবদ্ধতার বিষয়ে সচেতন থেকেও, যেগুলো নিজে থেকেই সামনে আসতে পারে।আরাকান আর্মি এখন কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে বড় সাফল্য অর্জন করার পর গোষ্ঠীকে দেখাতে হবে যে, তারা দেশের একটি অবহেলিত অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনতে পারে এবং সেখানে বসবাসরত সকল মানুষের স্বার্থে সরকার পরিচালনা করতে পারে।ঢাকা/ব্রাসেলস, ২৭ আগস্ট ২০২৪ Related Tags More for you Statement / Asia পশ্চিম মিয়ানমারে যুদ্ধ: রাখাইন-রোহিঙ্গা সংঘাত পরিহার Also available in Also available in English, Burmese Briefing / Asia Ethnic Autonomy and its Consequences in Post-coup Myanmar Also available in Also available in Burmese, Chinese, Simplified